বাউফল প্রতিবেদক ॥ দীর্ঘদিন পর লকডাউন শিথিল করার পরে নৌযান চলাচলের অনুমতি থাকলেও পটুয়াখালীর বাউফলের কালাইয়া টু ঢাকা এবং বগা টু ঢাকা রুটে যাত্রাবাহী ডাবল ডেকার লঞ্চগুলোতে তা মানা হচ্ছেনা সরকার ঘোষিত কোন নিয়ম নীতি ꫰ করোনাভাইরাসের সংক্রমনরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হলেও তা তোয়াক্কা না করে কর্তৃপক্ষ ইচ্ছেমত যাত্রী বোঝাই করে লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছেন প্রতিদিন । কালাইয়া থেকে বিকাল ৪টায় এবং বগা থেকে সন্ধ্যায় এসব লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। যাওয়ার পথে আবার বিভিন্ন জায়গায় ঘাট দেয়। এসব ঘাট থেকে ব্যাপক যাত্রী লঞ্চে উঠা নামা করেন। তার এই পোস্ট দেখে বুধবার সরেজমিনে কালাইয়া লঞ্চ ঘাট গিয়ে দেখা গেছে, বন্ধন-৫ ও ধুলিয়া-১ নামের দুইটি ডাবল ডেকার লঞ্চ একই সময় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ওই দুইটি লঞ্চে তিল পরিমান জায়গা ফাঁকা ছিলনা। যে যাত্রী যেখানে বসেছেন বা শুয়েছেন, তিনি সেখান থেকে ওঠার সুযোগ পাচ্ছেননা। এ অবস্থায় তদারকিও করছেনা কোন প্রশাসন। সরেজমিনে আরও দেখা গেছে, লঞ্চে ৮০ ভাগ যাত্রীই মাকস ব্যবহার করছেন না꫰ দুরত্ব বজায় তো দুরের কথা ꫰ লঞ্চে আরও দেখা গেছে, ৩০ থেকে ৫০ বছর বয়স অনেকে জুয়া তাস খেলছে ꫰ এতে নেই কারও মাথা ব্যথা ꫰ লঞ্চ কতৃপক্ষ যেন দেখেও না দেখার ভান করছেন। জানা যায়, গত ৩১ মে- ২০২০ ইং তারিখ বেলা এগারোটার দিকে বাউফল থানার ওসি কালাইয়া নৌ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জকে নিয়া কালাইয়া লঞ্চঘাট এসে লঞ্চ স্টাফ ও যাত্রী সাধারনকে করোনা রোধে বিভিন্ন বিষয়ে সতর্ক সচেতন করলেও কতৃপক্ষ থেকে কেউই এ সতর্ক সচেতনতা মানছেন না। এ ব্যাপারে কালাইয়া নৌ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ সোহাগ ফকির জানান, লঞ্চঘাটে আমরা প্রতিনিয়ত ডিউটি করছি এবং যাত্রীদেরকে সর্তক সচেতন করছি। বাউফলে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ১৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। ১১জন সুস্থ হয়ে প্রতিষ্ঠানিক আইশোলেশন থেকে বাড়ি ফিরে গেছেন। বাকি দুইজনের একজন বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কারোনা আইসোলেশনে অন্যজন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন চিকিৎসাধিন আছেন।
Leave a Reply